বিসিবি ক্রিকেটারদের দেখভাল করলে কোয়াবের কোনো কাজ থাকবে না, বিশ্বাস তামিমের

ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন তামিম ইকবাল

ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হতো ক্রিকেটারদের। এবার বর্তমান ক্রিকেটাররাই কোয়াবের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসতে চলেছেন। যদিও ১১টি পদের মধ্যে ১০টিতেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। একজন করে প্রার্থী মনোনয়ন তোলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বেশিরভাগ প্রার্থী। ফলে নির্বাচনের আসল লড়াইটা হবে কেবল সভাপতি পদে।
বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেবেন তামিম
৩১ আগস্ট ২৫
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সেলিম শাহেদ ও জাতীয় দলের ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন। তাদের মধ্যেই নির্ধারিত হবে কোয়াবের নতুন নেতৃত্বের কেন্দ্রীয় আসন।
এদিন কোয়াবের নির্বাচন ঘিরে মিরপুরে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের আনাগোনায় মুখোর। ভোট দিতে এসেছেন তামিম ইকবালও। তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন বিসিবি যদি ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধা ও সমস্যাগুলো দেখে তাহলে কোয়াবের কোনো কাজ থাকবে না।

তিনি বলেন, 'আমার তো মনে হয়, আল্লাহ করুক ওদের যেরকম কোনো কাজই না থাকুক। যদি ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দেরকে দেখভাল করে, তাদের টাকা-পয়সা, সবকিছুর দিক থেকে যদি দেখভাল করে, তো তাদের তো কোনো কাজ করার উচিত না। কারণ কী নিয়ে অভিযোগ করবে?'
বিপুল ভোটে কোয়াবের সভাপতি নির্বাচিত মিঠুন
২ ঘন্টা আগে
তামিম যোগ করেন, 'তাই আমার মনে হয়, ওদের চেয়ে বেশি ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব যে, ওদেরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক, যেটা ওদের অধিকার আর যেটার জন্য ওরা যোগ্য। সো, এই জিনিসগুলো যদি ক্রিকেট বোর্ড সবকিছু ঠিকভাবে করে, কোয়াবের তো কোনো কিছু অভিযোগ করারই থাকবে না। আমি আশা করব যে, আমাদের কোয়াবের তরফ থেকে কোনো অভিযোগই যাবে না। এটাই আশা করি।'
কোয়াবের সঙ্গে বর্তমান ক্রিকেটারদেরই সংশ্লিষ্টতা বেশি। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক ক্রিকেটারই পারিশ্রমিক পান না ঠিক মতো। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জটিলতার কারণে কোয়াবের শরণাপন্ন হন ক্রিকেটাররা। তাই বর্তমান ক্রিকেটারদের কোয়াবের নেতৃত্বে আসাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তামিম।
তিনি বলেন, 'দেখেন, আমার কাছে মনে হয় যে, ধরুন এই ধরনের সংগঠনের ৯৫% কাজ কিন্তু সক্রিয় ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে। কারণ ধরুন, কেউ যদি পেমেন্টের কোনো সমস্যা হয়, কোনো খেলোয়াড়ের যদি সুযোগ-সুবিধার সমস্যা হয়, এগুলো কিন্তু হবে বর্তমান ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে। তো বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে যদি দাঁড়ায়, তাহলে এটা সবচেয়ে ভালো।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'কারণ ওরা সুযোগ-সুবিধা কী হচ্ছে, কী কষ্ট পাচ্ছে তারা—এটা তাদের চেয়ে ভালো কেউ বুঝতে পারবে না। সাবেক ক্রিকেটার অবশ্যই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যারা আগে ক্রিকেট খেলেছেন, তাদের অবদানও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই সংগঠনের ৯৫% কাজ কিন্তু বর্তমান ক্রিকেটারদেরকে নিয়ে। তাই, ওদের মাঝখান থেকে যদি সভাপতি হয় বা কমিটি হয়, আমি এটাকে খুবই ভালোভাবে দেখি।'