জানিনা সে আমাকে চিনতে পারবে কিনা, গিলের উদ্দেশ্যে সিমরানজিৎ

ছবি: শুভমান গিল ও সিমরানজিৎ সিং

ভারতের শুভমান গিলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিমরানজিৎ সিংয়ের বন্ধুত্বটা মূলত তৈরী হয় পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের নেটে। গিলের বয়স তখন ১২, তখন থেকেই তাকে চেনেন আরব আমিরাতের বাঁহাতি এই স্পিনার। গিল সিমরানজিতকে এখন চিনতে পারবে কিনা সে বিষয়ে সন্দীহান আরব আমিরাতের এই ক্রিকেটার নিজেই।
মঈন-রশিদের ‘ফ্যাব ফোরে’ গিল-জয়সাওয়াল
২৫ আগস্ট ২৫
সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে সিমরানজিৎ বলেছেন, 'আমি শুভমানকে ছোটবেলা থেকে চিনি, তবে জানিনা সে আমাকে মনে রেখেছে কিনা। সেটা ছিল ২০১১-১২ সালের সময়। শুভমানের বয়স তখন সর্বোচ্চ ১১ বা ১২ হবে। আমরা সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পিসিএ একাডেমিতে অনুশীলন করতাম।'
ভারতের টেস্ট অধিনায়ককে নিয়ে সিমরানজিৎ আরও বলেন, 'শুভমান তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ১১টার দিকে আসতো। আমি ছিলাম এমন একজন, যে আমাদের সেশন শেষ হওয়ার পরও বাড়তি বোলিং করতাম। জানি না, সে আমাকে চিনতে পারবে কি না, তবে সেই সময় আমি তাকে অনেক বোলিং করেছি।'

সিমরানজিৎ ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ক্রিকেটীয় মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়ে। যেখানে তিনি খেলতে নামবেন জন্মভূমি ভারতের বিপক্ষে। এই বাঁহাতি স্পিনারের জন্ম ভারতের পাঞ্জাবের লুথিয়ানা শহরে। সংযুক্ত আরব আমিরতের সঙ্গে ক্রিকেট শুরুর সময়কার।কথাও খোলাসা করেছেন সিমরানজিত।
তিনি বলেন, 'আমাকে দুবাইয়ে অনুশীলনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আর আমি ২০২১ সালের এপ্রিলে ২০ দিনের মতো এখানে আসি। এরপর হঠাৎ দ্বিতীয় ঢেউ (কোভিড ১৯) আঘাত হানে ভারতে, আবার লকডাউন হয়। কয়েক মাস দেশে ফিরতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত থেকে যাই।'
আরব আমিরাতের হয়ে খেলার যোগ্যতা পেতে হলে সিমরানজিৎকে টানা তিন মৌসুম ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হয়েছে। শর্ত পূরণ করার পর তিনি কোচ লালচাঁদ রাজপুতের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রায়ালের আবেদন করেন। এরপর স্থায়ীভাবে দলটির হয়ে খেলার সুযোগ পান তিনি।
তিনি যোগ করেন, '২০২১ সাল থেকে আমি দুবাইয়ে স্থায়ী হয়ে যাই। জুনিয়র ক্রিকেটারদের কোচিং করিয়ে ভালো রোজগার শুরু হয়। ক্লাব ক্রিকেট খেলতাম, জুনিয়রদের কোচিং দিতাম—এইভাবে সংসার চলত। আরব আমিরাত দলে ঢোকার পর এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড থেকে সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট পাই, এখন সবকিছু ভালো চলছে।'
ভারতের হয়ে খেলতে না পারার আক্ষেপ হয়তো এখনও পোড়ায় সিমরানজিৎকে। এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতই এই বাঁহাতি স্পিনারের ধ্যানজ্ঞান। তার পরিবার কাকে সমর্থন করবে এমন প্রশ্নে সিমরানজিত বলেন, 'এটা কঠিন প্রশ্ন। স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে খেলা, কিন্তু এখন যেহেতু আরব আমিরাতের হয়ে খেলছি, আমি মনে করি তারা আমিরাতকেই সমর্থন করবে।'