নরকের মতো ছিল শেষ দুই ওভারঃ আইয়ার

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাঁচা-মরার ম্যাচ, শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন মাত্র ১২ রান। উইকেটে ছিলেন ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা দিল্লির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশাভ পান্ত এবং শেরফানে রাদারফোর্ড। তবুও শেষ দুই ওভার যেন নরকের মতো কাটছিল মাত্র ৬ রান করে ফিরে যাওয়া দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের কাছে।
কারণ হায়দ্রাবাদের পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রাদারফোর্ড। ওভারের তৃতীয় বলে ছয় হাঁকিয়েছিলেন পান্ত, কিন্তু পঞ্চম বলে এসে তিনিও ফিরে যান সাজঘরে। দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমা হয় দিল্লি শিবিরে। ৭ রান দিয়ে ওভার শেষ করেন ভুবনেশ্বর।
ইনিংসের শেষ ওভার, রান প্রয়োজন পাঁচ। উইকেটে নতুন দুই ব্যাটসম্যান কিমো পল এবং অমিত মিশ্রা। প্রথম বলে ওয়াইড দিয়ে লক্ষ্য চারে নামিয়ে দিয়েছিলেন পেসার খলিল আহমেদ। পরের বলেই আরও এক দিয়ে পলকে স্ট্রাইকে পাঠান মিশ্রা। এক ডট দিয়ে দুই বলে এক রান নেন পল।

সেসময় সমীকরণ দাঁড়ায় তিন বলে দুই রান, স্ট্রাইকে থাকা অমিত মিশ্রা পরের বলটি ব্যাট লাগাতে না পেরে রান নেয়ার উদ্দেশ্যে দৌড় দেন উইকেটের মাঝখান দিয়ে। আর এর ফলে অবস্ট্রাক্ট ইন দ্য ফিল্ড হয়ে আউট হতে হয় তাঁকে।
ফলে আরও বেশি দুশ্চিন্তা দেখা দেয় দিল্লি শিবিরে। সেসময়েই উত্তেজনাকর সেই মুহূর্তে চার মেরে দলকে দারুণ জয় এনে দেন পল। তখন যেন হাজার বছরের অপেক্ষার শেষ হয় আইয়ারের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,
'আমি অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না। মুহূর্তটা খুবই চাপের ছিল। আমি সতীর্থদের সাথে বসে ছিলাম এবং আমার মনে হচ্ছিল আমি অনেক বছর ধরে বসে আছি। সত্যি কথা বলতে শেষ দুই ওভার নরকের মতো ছিল।'
এলিমিনেটর পর্ব উৎরে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দিল্লি। সামনের ম্যাচেও জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করতে চান অধিনায়ক আইয়ার এবং ভাগাভাগি করতে চান আনন্দের মুহূর্তগুলো। তাঁর ভাষায়,
'সকলের চোখে মুখে আনন্দ দেখতে পাচ্ছিলাম এবং সবাইকে সন্তুষ্ট দেখে খুবই ভালো অনুভূতি হচ্ছিল। অবশ্যই ম্যাচ জয় শেষে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়া সত্যিই অনেক ভালো। চেন্নাইয়ের বিপক্ষেও জয় আশা করছি। আমরা কোন দলকেই ভয় পাই না। পরবর্তী ম্যাচের দিকে চেয়ে আছি।'