পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বার্মিংহামের এজবাস্টনে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় লড়াইয়ে নামবে দুই দল।
ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অগ্নিপরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে ভারতকে হারাতে হবে বাংলাদেশকে। যদিও দুই দলের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ থেকে ঢের এগিয়ে ভারত। বাংলাদেশ-ভারতের ওয়ানডে ফরম্যাটে মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলঃ
শেষ দশ দেখাঃ ভারত এবং বাংলাদেশের শেষ দশ দেখায় অনেক এগিয়ে ভারত। মাত্র দুটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ, যেখানে ভারত জিতেছে আটটি ম্যাচে। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত সিরিজে ভারতকে টানা দুটি ম্যাচে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে শেষ দেখা হয় এই দুই দলের।
মুখোমুখি লড়াইঃ ওয়ানডে ফরম্যাটে ৩৫ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। যেখানে মাত্র পাঁচটি ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। ভারত জিতেছে ২৯ ম্যাচ। ২০০৪ সালে প্রথমবার ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ১৫ রানে এশিয়ার এই শক্তিশালী দলকে হারাতে সক্ষম হয় তারা। ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। যেখানে নয় উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারায় ভারত।

বিশ্বকাপে দুই দলঃ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তিনবার ভারতের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। একটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা, আর ভারত জিতেছে দুটি ম্যাচে। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দেখা হয় বাংলাদেশের। প্রথম দেখাতেই ইতিহাস রচনা করে দলটি।
শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গাঙ্গুলিদের নিয়ে গড়া ভারতকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপেও ভারতের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। এই দুই দেখায় জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সঃ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি লড়াইয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। ২০১১ বিশ্বকাপে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন।
বাংলাদেশের হয়ে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ২০১১ বিশ্বকাপে ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে দুটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তামিমের।
সেরা বোলিং ফিগারটিও ভারতের দখলে। ভারতীয় পেসার উমেশ যাদব ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাংলাদেশের হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা ৩৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ভারতকে হারানোর ইতিহাস গড়া সেই ম্যাচে।
সামগ্রিক পারফর্মেন্সঃ ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের। ৬০৪ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি ভারতের বিপক্ষে। যেখানে তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৫.৫২। অপরদিকে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬৫৪ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে মাশরাফি-মুস্তাফিজদের বিপক্ষে তাঁর গড় ৮১.৭৫।
বল হাতে সবচেয়ে বেশি উইকেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। ভারতের বিপক্ষে ১৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যেখানে ২৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন মাশরাফি। আর ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সাবেক পেসার অজিত আগারকারের। ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি।