মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরার অভিজ্ঞতা জানালেন মিঠুন-রাহিরা

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ক্রাইস্টচার্চের সেই ভয়াল স্মৃতি আজো তাড়িয়ে বেড়ায় বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারদের। মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে তাদের।
জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন এবং ডানহাতি পেসার আবু জায়েদ রাহিও রয়েছেন এই তালিকায়। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেদিনকার ভয়াল স্মৃতি রোমন্থন করেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী সন্ত্রাসী ব্র্যান্টন ট্যারান্টকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে নিউজিল্যান্ড আদালত। দেশটির বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদন্ডের বিধান না থাকায় এই শাস্তি দেয়া হয়েছে ট্যারান্টকে।

ট্যারান্টের রায়ের পর সেদিনকার ভয়াল অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মিঠুন বলেছেন, 'আমি সেই ভয়াবহ স্মৃতি মনে করতে চাই না। তবে হ্যা আমি যখন সংবাদ দেখলাম এবং এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে জানলাম তখন মনে হচ্ছিলো যে আমিও তাদের একজন হতে পারতাম। এটা আসলেই অনেক দুঃখজনক।'
নিউজিল্যান্ডের মতো শান্তিপ্রিয় দেশে এমন ঘটনার পর হতবাক হয়ে পড়েছিলেন মিঠুন। তাঁর ভাষায়, 'নিউজিল্যান্ডের মতো এমন একটা শান্তিপ্রিয় দেশে এমন ঘটনায় আমি হতবাক হয়ে পড়ি। সেখানকার মানুষ অনেক ভদ্র এবং নম্র। তারা এমনকি পশুদের প্রতিও নিষ্ঠুর নয়। কিভাবে সেখানে একজন মানুষ এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারে!'
সিলেটের পেসার রাহিও দ্রুত ভুলে যেতে চান সেই স্মৃতি। তিনি বলেন, 'আমি সেই স্মৃতি যতটা দ্রুত সম্ভব ভুলে যেতে চাই। আপনারা জানেন যে আমাদের কাছের কেউ মারা গেলেও এক-দুই বছর পর আমরা ভুলে যাই। এর আগে যখনই ক্রাইস্টচার্চ সংক্রান্ত কোনো প্রসঙ্গ উঠতো তখনই আমি শঙ্কিত হয়ে পড়তাম এবং আমার শরীর কাঁপুনি দিয়ে উঠতো। তবে সেগুলো এখন অতীত। অনেক দিন পার হয়েছে, আমি সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।'
এতগুলো মানুষকে হত্যার পরেও যে ট্যারান্টকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হচ্ছে না সেটি অবশ্য আগেই জানতে পারেন রাহি। তাঁর ভাষ্যমতে, 'আমাদের অনেকেই পরের দিনই জেনে গেছে যে এতগুলো জীবন নেয়ার পরেও হত্যাকারীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে না। কারণ নিউজিল্যান্ডের বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান নেই।'
গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। জুম্মার নামাজ আদায় করতে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে যাওয়ার কথা ছিল তামিম-মাহমুদউল্লাহদের। কিন্তু তার অল্প সময় আগে খবর পাওয়া যায় একজন সন্ত্রাসী নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেছে মসজিদটির মুসল্লিদের উপর।