বিসিবিকে অস্বস্তিতে না ফেলতেই বিকেএসপিতে সাকিব

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। বর্তমানে নিজের প্রাক্তন পীঠস্থান বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অনুশীলন করছেন দেশের ক্রিকেটের এই পোস্টার বয়।
তবে প্রশ্ন হলো মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম ছেড়ে অনেকটা বিকেএসপির মাঠেই কেন নিভৃতে অনুশীলন সারছেন সাকিব? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যে এই ব্যাপারে একটি ধারণা পাওয়া গেছে।
ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের সঙ্গে ফোনালাপে নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন মূলত মিডিয়া থেকে দূরে থাকতেই বিকেএসপিকে বেঁছে নিয়েছেন সাকিব। মিরপুরের মাঠে অনুশীলন করলে প্রতিনিয়তই টিভি ক্যামেরার মুখোমুখি হতে হতো তাঁকে। সেটিই হয়তো চাননি 'নিষিদ্ধ' সাকিব। তার উপর এই মুহূর্তে তিনি মিডিয়ার সামনে আসলে অস্বস্তিতে পড়তে পারে ক্রিকেট বোর্ডও।

নিজাম উদ্দিন তাই বলেছেন, 'সে পাবলিকলি কিছু করতে পারবে না। দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে না। তার যেটা করতে হবে সেটা হল সে একক অনুশীলন করতে পারবে, বিসিবির কোচদের সাহায্য নিতে পারবে। কিন্তু এসব যতটা নিভৃতে করা যায় ততটাই ভালো। এখানে মিডিয়ার একটা বিষয় রয়েছে। সে সেটা করতে পারবে না। যেমন ধরেন আমাদের মাঠে অনুশীলন করলে আপনারা ১০ জন গিয়ে এটা ওটা জানতে চাইবেন। নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার আগ পর্যন্ত আকসুও অনুমতি দেবে না। এই কারণে আমরাও চাই না যে ওর কোনো সমস্যা হোক।'
বিসিবির প্রধান নির্বাহীর কথায় স্পষ্টই বুঝা গেল যে জনসমাগম এড়াতেই বিকেএসপিতে অনুশীলন করা শ্রেয় মনে করছেন সাকিব। অন্তত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত যে মিডিয়ার সামনে তিনি আসবেন না সেটিও অনেকটা পরিষ্কার।
যদিও সাকিব চাইলে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামেও অনুশীলন করতে পারতেন বলে জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন। তবে সেক্ষেত্রে অন্য ক্রিকেটারদের চেয়ে আলাদা করে অনেকটা রুদ্ধদ্বার অবস্থায় অনুশীলন করতে হতো তাঁকে। মিডিয়ার কাছ থেকে দূরে থাকার জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করতো বিসিবি। এর অবশ্য কিছুই প্রয়োজন হয়নি শেষ পর্যন্ত। বিসিবিকে বিব্রত না করে নিজেই বিকেএসপিকে বেঁছে নিয়েছেন সাকিব।
নিজাম উদ্দিনের বলেন, 'সাকিব তো নিজেও জানে কি করা উচিত কিংবা কি করতে হবে। সে সেভাবেই করবে, এরপরে যদি ওর কোনো সাপোর্টের দরকার হয় তাহলে তো আমরা দিবোই। সাকিব যদি চায় তাহলে সে অবশ্যই মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে পারবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো অকে আলাদা করে করাতাম যাতে এক্সপোজারটা না হয়ে যায়। মানে ক্লোজ ডোর ট্রেনিং করতে পারবে সে। একজন কোচ কিংবা একজন ট্রেইনার থাকতে পারবে ওর সঙ্গে।'
চলতি মাসেই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই সিরিজেই ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে সাকিব আল হাসানের। কারণ ২৯ অক্টোবর আইসিসির আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁর।