বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কাজ ইংল্যান্ড দলে জায়গা পাওয়া

ছবি: ইসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রিশাদের অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখে বিলিংসের মনে পড়ছে রশিদকে
১৬ এপ্রিল ২৫
সময় যত গড়িয়েছে ততই প্রতিদ্বন্দ্বীতা বেড়েছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মাঝে। দলে এতো বেশি পারফর্মার যে ভালো পারফরম্যান্স করেও নিজের জায়গা নিয়ে শঙ্কায় থাকতে হয় ক্রিকেটারদের। ইংল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটসম্যান স্যাম বিলিংস মনে করেন, ইংল্যান্ড দলে জায়গা পাওয়া বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন কাজ।
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ইংল্যান্ড। এরপর ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে ইংলিশরা। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে ক্রিকেটের জন্মভূমির দেশটি। টানা দুই বিশ্বকাপে হতাশ হওয়া ইংল্যান্ড জিতেছে ২০১৯ বিশ্বকাপ।

ঘরের মাঠে কিংবা বিদেশের মাটিতে, সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড যেন অনেকটা অপ্রতিরোধ্য। সর্বশেষ সিরিজগুলোর বেশির সিরিজই জিতেছে তারা। সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলতে আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা আছেন বেন স্টোকস-জো রুটরা। নিজেদের ব্যাটিং এবং বোলিং গভীরতা নিয়ে সন্তুষ্ট বিলিংস। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড সবচেয়ে কঠিন দল। এ প্রসঙ্গে বিলিংস বলেন, এই মুহূর্তে এটি (ইংল্যান্ড) বিশ্বের অন্যতম কঠিন দল। আমরা ব্যাটিং ও বোলিংয়ের যে গভীরতা পেয়েছি তা অসাধারণ।’
গেল পাঁচ বছর ধরে দলে অনিয়মিত সদস্য বিলিংস। তবে গেল সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলে সুযোগ পেয়েছে নিজের ব্যাটিং দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। যেখান ১ সেঞ্চুরিসহ তিন ম্যাচে করেছিলেন ১৮৩ রান। জেসন রয়-বেন স্টোকসরা না থাকায় তখন নিয়মিত দলে ছিলেন তিনি। তবে দক্ষিণ ???ফ্রিকা সফরে দলে ফিরেছেন তারা।
যে কারণে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে কিছুটা সন্দিহান তিনি। সফরে আন্তঃস্কোয়াড প্রস্তুতি ম্যাচে ৪৩ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যে কারণে একাদশে জায়গা পেতে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন তিনি। বিলিংসের ভাষ্য, ‘এককভাবে আপনি যখন সুযোগ পাবেন, তখনই সেটিকে লুফে নেয়া উচিত। দলে জায়গা পাওয়ার জন্য এটা একটা ভালো দিক। আপনাকে আরও উন্নত করার জন্য এককভাবে কিংবা দলগতভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি গ্রীষ্মে যেটা করেছি এবং শীতেও সেটি করার প্রত্যাশা করছি। সত্যি বলতে আপনি এটি করতে পারেন। যখন কেউ একটা জায়গায় স্থির থাকেন এবং তার পিছনে কেউ একজন জায়গাটি চায়, তখনই আসলে ভালো করার তীব্রতা আসে। যে কোনো দল বা স্কোয়াডের জন্য এমন অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা আসলেই দুর্দান্ত ব্যাপার।’
এর আগে একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ডেভিড মালান। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কোনো ধারণা নেই (পরের টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পাব কিনা)। আমি আসলে সত্যিই কিছু জানি না। এটির উত্তর দিতে পারবেন নির্বাচকরা, কোচরা এবং ইয়ন মরগান। সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারটি তাদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।’