শঙ্কায় শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর

ছবি: সংগ্রহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নেবেন ম্যাথিউস
১৩ ঘন্টা আগে
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ভবিষ্যত সূচি (এফটিপি) অনুযায়ী চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের। তবে ইংল্যান্ড বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে যাওয়ায় লঙ্কানদের এই সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
আসন্ন এই সিরিজি দুটি টেস্ট খেলবে এই দুদল। যা কিনা আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। ঐতিহ্য মেনে লঙ্কানদের বিপক্ষে হবে প্রোটিয়াদের বক্সিং ডে ও বছরের প্রথম টেস্ট। ২৬ ডিসেম্বরের বক্সিং ডে হবে সেঞ্চুরিয়নে, আর বছর শুরু করা টেস্টটি ৩ জানুয়ারি শুরু হবে জোহানেসবার্গে।

যদিও সিরিজ শুরুর আগে শঙ্কার কালো মেঘ জমে আছে। প্রোটিয়া সফরে যাওয়ার আগে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) এবং তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের মেডিকেল প্যানেলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক অর্জুনা ডি সিলভা।
এ প্রসঙ্গে ডি সিলভা বলেন, 'এই সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) এবং তাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং ইসিবির সাথে কথা বলব। আমরা আমাদের দলের খেলোয়াড় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও কথা বলব। এই সফরের সবুজ সংকেত দেয়ার আগে আমরা দুবার চিন্তা করব।'
শুধু শ্রীলঙ্কা সফরই নয়, শঙ্কায় পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরও। সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার কথা রয়েছে অজিদের। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জৈব সুরক্ষা বলয় ও টিম ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট ডেভিড হসলপ আফ্রিকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় শঙ্কা জেগেছে সফরটি নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে ডেভিড বলেন, 'এটি অনেক চিন্তার বিষয় এবং তাদের খেলোয়াড়দের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। এমনকি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং খেলোয়ড়দের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত যেখানে অনেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত। কারণ সবকিছু অনুকূলে থাকবে।'
এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো বিপদ ছাড়াই টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করলেও ওয়ানডে সিরিজের আগে হানা দেয় প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এবং হোটেল স্টাফ করোনা পজেটিভ হওয়ায় কয়েক দফা পিছিয়ে দেয়া সিরিজটি। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় স্থগিত করা হয় সিরিজটি। যে কারণে এখন সবার মাঝে একটাই প্রশ্ন আসন্ন এই সফরে লঙ্কানরা যাবে তো?