অস্ট্রেলিয়া-ভারতের তৃতীয় টেস্টে কমছে দর্শক

ছবি: সংগৃহিত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০৩২ অলিম্পিকের পর ভেঙে ফেলা হবে গ্যাবা স্টেডিয়াম
২৫ মার্চ ২৫
গত বছরের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের সিরিজে স্বল্পসংখ্যক দর্শক উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এরপর ছেলেদের অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজেও স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শক উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিল তাঁরা।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অঙ্গরাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে নতুন করে ১৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অঙ্গরাজ্যটির শহর সিডনিতে অবস্থিত সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট। যে কারণে স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতার ৪ ভাগের ১ ভাগ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে সিএ।
সেক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ দর্শক প্রত্যেকদিন মাঠে প্রবেশ করে ম্যাচটি উপভোগ করতে পারবেন। রাষ্ট্র সরকার এবং স্বাস্থ্য কতৃপক্ষের বরাত দিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আরো জানিয়েছে যে প্রত্যেকদিন ১০ হাজারেরও কম সংখ্যক মানুষ স্টেডিয়ামে প্রবেশের আনুমতি পাবে।

এ প্রসঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তবর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেন, 'সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজনীয়তার কারণে ভেন্যুর ধারণ ক্ষমতা হ্রাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'
অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি এবং দুইটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজিত হলেও এর সঙ্গে জড়িত সকল ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, মাঠ কর্মী কিংবা সম্প্রচার দলের কাউই করোনায় আক্রন্ত হওয়ার খবর পওয়া যায়নি। যে কারণে পর্দার পিছনে কাজ করে যাওয়া সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হকলি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, 'আজ অবধি আমরা সফল এবং নিরাপদ ক্রিকেটীয় গ্রীষ্মের আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য জৈব সুরক্ষা বলয় প্রোটোকল রক্ষা, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতা সমর্থন এবং পর্দার আড়ালে এত লোকের কঠোর পরিশ্রমের জন্য সকলকে ধন্যবাদ।'
চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতিয়টিতে জিতে ইতিমধ্যেই সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। আগামী ৭ জানুয়ারী সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি সিডনি ক্রিকেট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ।