বাবা-মার সামনে সেঞ্চুরি করায় গর্বিত স্মিথ

ছবি: সংগৃহিত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০৩২ অলিম্পিকের পর ভেঙে ফেলা হবে গ্যাবা স্টেডিয়াম
২৫ মার্চ ২৫
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ৯৭তম ওভার চলছে, ৯৯ রানে অপরাজিত স্টিভেন স্মিথ। অভিষিক্ত নবদীপ সাইনির শট অফ গুড লেন্থের একটি বল লেগ সাইডে ঠেলে দিয়েই দৌড় শুরু করলেন তিনি। তৃতীয় রান শেষে অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে হাওয়ায় ব্যাট হাঁকালেন একই সঙ্গে চুমু খেলেন হেলমেটেও। দীর্ঘ ১৪ ম্যাচের সেঞ্চুরি খড়া কাটিয়ে অবশেষে যে তিন অঙ্কের দেখা পেলেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।
যেটা স্মিথের ক্যারিয়ারের ২৭ তম সেঞ্চুরি। এই হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ছুঁয়ে ফেললেন সময়ের আর এক সেরা ব্যাটসমস্যান বিরাট কোহলিকেও। টেস্ট ক্রিকেটে যে কোহলিরও ২৭টি সেঞ্চুরি। ডন ব্র্যাডম্যানের সবচেয়ে দ্রুত সময়ে ২৭ সেঞ্চুরি করলেন স্মিথ। মাত্র ১৩৬ ইনিংস খেলে ২৭ সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ। যেখানে কোহলি এবং ব্যাটিং কিংবদন্তী শচীন টেন্ডুলকারের একই সংখ্যক সেঞ্চুরি করতে লেগেছিল ১৪১ ইনিংস।

তাই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে স্মিথে এ ধরণের উদযাপন মাননসই ই বটে। হয়তো ব্যাট হাঁকিয়ে সমালোচনাকেই তুঁড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাইলেন তিনি। স্মিথের কাছে এই সেঞ্চুরটির আরও একটি বিশেষ কারণ আছে। একেই তো সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড তাঁর ঘরের মাঠ, তার ওপর বাবা-মাকে গ্যালারিতে বসিয়ে খেললেন ১৩১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। আর এ কারণেই নিজেকে বেশ গর্বিত মনে হচ্ছে স্মিথের।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তিনি বলেন, 'সবসময়ের জন্য এটা (সেঞ্চুরি) আমার কাছে বিশেষ কিছু। আমি এসসিজিতে (সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড) খেলতে পছন্দ করি। এটি আমার হোম গ্রাউন্ড আমার কাছে ব্যাট করার জন্য দুর্দান্ত জায়গা। আমার মা-বাবাও এখানে উপস্থিত ছিলেন এবং তারা আমার সেঞ্চুরি মাঠে বসে দেখেছেন। বাবা-মার সামনে স্কোরবোর্ডে তিন অঙ্ক ছোঁয়া সতিই বেশ গর্বের।'
ভারতের বিপক্ষে গত দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি স্মিথ। তৃতীয় ম্যাচে সঙ্গীদের যাওয়া আসার মিছিলে বলতে গেলে একাই দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। ১৩১ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি দলকে নিয়ে গেছেন ৩৩৮ রানে কোটায়। স্বভাবতই এ ধরণের ইনিংস খেলে দলকে ভালো অবস্থানে পৌছে দিতে পারায় যে কারোরই ভালো অনুভূত হওয়ার কথা। স্মিথের কথাতেও সেটির প্রমাণ মিললো।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ফর্মে ফিরে ভালো লাগছে। আমার মনে হয় আমি এসসিজিতে প্রায় দুই-তিন সপ্তাহ আগে দুটি সেঞ্চুরি করেছিলাম। এটি মাঝে মাঝে আমাকে হাসায়। অবশ্যই প্রথম দুই ম্যাচে রান করতে পারিনি। আজ ফর্মে ফিরে এসে এবং কিছু রান করে দলকে ভালো অবস্থানে পৌছে দিতে পারায় বেশ ভালো লাগছে।'