এভাবে চলতে থাকলে অন্য দেশগুলো ম্যাচই খেলতে পারবে না, আইসিসিকে স্মিথ

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এসএ টোয়েন্টিকে দুনিয়ার দ্বিতীয় সেরা লিগ বানাতে চান স্মিথরা
৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের আধিপত্য নিয়ে বরাবরই আলোচনা হয়। নিজেদের মাঝে একের পর এক সিরিজ খেললেও নিচের সারির দলগুলোর সঙ্গে খেলতে দেখা যায় না তাঁদের। এমন সংস্কৃতির পরিবর্তন এবং এই তিন দেশের বিপক্ষে আইসিসিকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গ্রায়েম স্মিথ। এভাবে চলতে থাকলে সবাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হবে বলে মনে করেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) এই পরিচালক।
আগামী মার্চে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে করোনাভাইরাসের কারণ দেখিয়ে সফরটি বাতিল করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সকল প্রস্তুতি সেরে ফেলার পর অজিদের এমন সিদ্ধান্ত বিপাকে ফেলেছে প্রোটিয়াদের।

সিএ’র এমন সিদ্ধান্তে আর্থিকভাবে বড় ক্ষতির মুখে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। যে কারণে ইতোমধ্যে আইসিসিকে চিঠিও দিয়েছে তারা। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে স্মিথ জানিয়েছেন, ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য এখন কঠোর কাউকে দরকার যিনি কিনা অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে স্মিথ বলেন, ‘এই মুহূর্তে নেতৃত্বের জন্য এমন কাউকে প্রয়োজন যারা জটিলতা বোঝে। আগামী ১০ বছরে কেবল তিনটি দেশই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে, আমার মনে হয় না বিশ্ব ক্রিকেট এমনটা চায়। এভাবে চলতে থাকলে খেলাটির উন্নতি হবে কিভাবে?’
বছর জুড়ে এই তিন দলের আধিপত্য চলতে থাকলে ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে আইসিসিকে সতর্ক করে দিয়েছেন স্মিথ। সেই সঙ্গে তিনি এটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, এভাবে চলতে থাকলে বাকি দেশগুলো একটা সময় এসে আন্তর্জাতিক ম্যাচই পাবে না। তাই এখনই এসবে নজর দেয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘এমন হলে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর প্রভাব বেড়ে যাবে, সেগুলো এতো বড় হয়ে যাবে যে হয়তো বাকি সদস্য দেশগুলো খুব কম কিংবা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই পাবে না। আইসিসির নেতৃত্বে যারা আছেন তাদের এখনই এই জায়গায়গুলোর নজর দেওয়া উচিত।’
‘আট বছরে সম্ভাব্য আটটি আইসিসি টুর্নামেন্ট, বর্ধিত আইপিএল এবং পঞ্জিকায় ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার আধিপত্যের কারণে এফটিপি বিশাল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। বাকি সদস্য দেশগুলোর জন্য যা চ্যালেঞ্জিং। অন্য সদস্য, যারা ভালো কিছু ম্যাচের আশায় থাকে, আমাদের মতো তাদের ওপরও চাপ বেড়ে যায়।’