নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তাসকিন

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
খালেদের ছোবলের পর বৃষ্টি ও কেলির দাপট
১০ ঘন্টা আগে
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রতিপক্ষকে বরাবরই কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। কিউইদের কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স একেবারে তলানিতে। পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হলেও সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসার মনে করেন, নিউজিল্যান্ডে সফল হতে হলে বাংলাদেশকে শতভাগ দিতে হবে।
২০১৫ সালে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তাসকিন। ফলে বিশ্বকাপের সুবাদে সেবার কিউইদের দেশে খেলার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের হয়ে নিউজিল্যান্ড সফর করেছিলেন তিনি।

২০১৭ সালের সেই সফরে বল হাতে খুব বেশি ভালো করতে না পারলেও টেল-অ্যান্ডার হিসেবে ব্যাটিংয়ে বেশ ভালো করেছিলেন তাসকিন। সেই দুইবারের খেলার অভিজ্ঞতা এবারের সিরিজে কাজে লাগাতে চান তিনি। তবে কিউইদের কন্ডিশনে প্রতিপক্ষ হিসেবে পারফর্ম করাটা যে সহজ নয় সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তাসকিন বলেন, ‘আসলে নিউজিল্যান্ডে এর আগেও আমার দুইবার খেলেছি আমি । বিশ্বকাপ খেলেছি এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজ খেলেছি। সবসময় অনেক চ্যালেঞ্জিং হয় বাইরে থেকে যারাই খেলতে যায় ওদের কন্ডিশনে ওদের সঙ্গে। ওইখানে ভালো করতে হলে আসলে সহজে কোনো কিছু পাওয়া সম্ভব না বোলার, ব্যাটসম্যান দুজনের জন্যই। কারণ ওদের কন্ডিশনে সবসময় ওরাই ফেভারিট থাকে এবং কঠিন হয় প্রতিপক্ষ দলের জন্য। তবে আমাদের শতভাগ তো দিতেই হবে সঙ্গে সক্রিয় থাকতে হবে।’
উপমহাদেশের উইকেটের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের উইকেটগুলো একটু বেশি বাউন্সিং। সেই সঙ্গে ফিল্ডিং করার সময় বাতাসের কারণে সমস্যায় পড়তে হয়। এমন কন্ডিশনে বাংলাদেশের খেলার অভ্যস্ততা না থাকার কারণে অনেকটা বিপাকে পড়তে হবে। তবে বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা সঙ্গে সেরকম স্পোর্টিং উইকেট হলে বাংলাদেশ ভালো করবে বলে বিশ্বাস তাঁর।
তাসকিন বলেন, ‘না মানে সব সময় ধীরগতির এবং হালকা বাউন্স খেলার অভ্যাস থাকে আমাদের তো ওইখানে দেখা যাবে অতিরিক্ত বাউন্স এবং তাড়াতাড়ি মুভমেন্ট করতে পারে। তো আমাদের জন্য একটু কঠিন হয় কিন্তু আমি আশাবাদী কারণ আমরা অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপ ইভেন্টগুলো খেলেছিলাম। তখন কিন্তু অনেক ভালো উইকেট ছিল ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের জন্য। সেরকম যদি স্পোর্টিং উইকেট হয় তাহলে আমাদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।’
‘ওইটাই আরকি চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায় অনেক সময় যে মানিয়ে নেয়া। প্রচন্ড বাতাস থাকে। যে বাতাসটা নিউজিল্যান্ডে আসলে ফিল্ডিং করার সময় বা বোলিংয়ে রানআপের সময় বা ব্যাটিংয়ে ফোকাস করতে সমস্যা হয়। কিন্তু এগুলা আসলে কোনো কারণ হতে পারে না। এগুলা নিয়েই আমরা চেষ্টা করব মানিয়ে ভালো করার।’