জেলখানায় আছি: মিরাজ

ছবি: বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ছিটকে গেলেন সৌম্য, পাকিস্তান সিরিজের দলে মিরাজ
২২ মে ২৫
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটীয় লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে অবশ্য মাঠের বাইরে কোয়ারেন্টাইন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হচ্ছে তামিম ইকবাল-মেহেদী হাসান মিরাজদের। সেই দেশের সরকারের দেয়া নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
এর মাঝে প্রথম ৭দিন থাকতে হচ্ছে একেবারে হোঁটেল বন্দি। যদিও সবাই করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর আধ ঘণ্টার জন্য বাইরে আসার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। তবে হোটেলবন্দি থাকাটা মিরাজের কাছে জেলখানায় থাকার মতো অনুভূতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে হতাশাও কাজ করছিল বলে জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

নিউজিল্যান্ড থেকে এক ভিডিও বার্তায় মিরাজ বলেন, ‘দেখেন প্রথম তিনদিন তো রুমের ভেতরেই ছিলাম। তারপর আধাঘণ্টা করে বের হওয়ার সুযোগ পেয়েছি সবাই। আমি যখন প্রথম যেদিন বেরিয়েছিলাম, গতকালকে, শুরুর দিকে মাথা একটু ঘুরতেছিল। তারপর আস্তে আস্তে ১০-১৫ মিনিট পর ঠিক হয়ে গেছিল। আমি মনে করি যে, তিনদিন যে ঘরের ভেতর যে বন্দি ছিলাম, আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে যে জেলখানায় আছি বা হতাশা আছে... এরকম একটু অনুভব হচ্ছিলো।’
খালেদের ছোবলের পর বৃষ্টি ও কেলির দাপট
১১ ঘন্টা আগে
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু যখন বাইরে বেরিয়ে আসলাম, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিলাম, তখন একটু ভালো অনুভব হয়েছে। যখন রুমে গেছি, তখন নিজেকে একটু সতেজ মনে হয়েছে। আজকেও যখন আধঘণ্টার জন্য বের হতে পেরেছি... সারাদিন রুমে থাকতে তো আর ভালো লাগে না। দেখেন তিন-চারদিন রুমে কাটানো, একইভাবে... এটা আসলে একটু আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। এই যে ৩০ মিনিটের জন্য বাইরে আসতে দেয়, এটা ভালো লাগে যখন রুমে যাই।’
নিউজিল্যান্ডের পৌঁছার পর ৫দিন ধরে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ক্রিকেটাররা। ৩০ মিনিটের জন্য বাইরে বের হওয়া ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মেলেনি। এই সময়টায় সবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে সময় কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিরাজ। শুরুর দিকে সময় কাটছিল না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বুঝতেই পারছেন কি রকম কাটছে। এই প্রথম হোটেলের ভেতর এরকম পাঁচটা দিন কাটিয়েছি। প্রথম দিকে সময় কাটছিল না। কারও সঙ্গে দেখাই হয়নি। প্রথম তিনদিন তো কারও সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে (হাসি) রুম টু রুম। প্রথমদিকে খারাপ লাগছিল, সময় কাটছিল না। এখন যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে, আশা করি আরও তিনদিন কেটে যাবে।’
প্রথম ৭ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও পরের দিনগুলোতে অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। সেই সময়টা ভালো কাটবে বলে জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘ছয়-সাতদিন পর যখন আমরা জিম এবং মাঠে যেতে পারব, তখন আমাদের ভালো লাগবে। এখন হয়তো সময়টা কাটছে না। জিমের সুবিধা বা আমরা যদি কিছু কাজ করতে পারতাম, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো, সময়টা কেটে যেত, বডি ফিটনেস ভালো হতো। যেহেতু সুযোগ নেই, দুই-তিনদিন পর শুরু হবে... আশা করি তখন ইনশাআল্লাহ ভালো হবে।’