ইয়ং-কনওয়ের আক্ষেপের পরও বড় লিডের পথে নিউজিল্যান্ড

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জোহানেসবার্গে বাড়ি-ঘর বিক্রি করে নিউজিল্যান্ডের হয়ে স্বপ্ন পূরণ
২৭ নভেম্বর ২০
লর্ডসে অভিষেক টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলট-পালট করে দিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে। দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে কীর্তি গড়ার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত আক্ষেপে পুড়েছেন। মাত্র ২০ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে না পেরে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
কনওয়ের মতো দ্বিতীয় আক্ষেপে পুুড়েছেন উইল ইয়ংও। কেন উইলিয়ামসনের ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে এজবাস্টনে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে দিনের শেষ বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে সেঞ্চুরি তুলে নিতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন তিনি। এই দুজনের আক্ষেপের দিনে ৩ উইকেটে ২২৯ রান তুলে ইংল্যান্ডকে বেশ ভালোভাবেই জবাব দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসের ইংল্যান্ডের করা ৩০৩ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামসনের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া টম লাথাম এদিন ফিরেছেন ১৬ বলে ৬ রান করে। এরপর অবশ্য তিনে নামা ইয়ংকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন কনওয়ে।

এই দুজনের জুটির ওপর ভর করে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয় নিউজিল্যান্ড। স্টুয়ার্ট ব্রড-জেমস অ্যান্ডারসনের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর অনেকটা নিজের ভুলেই আউট হয়েছেন কনওয়ে। ব্রডের বল ফ্লিক করে স্কয়ার লেগে একেবারে সীমানায় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
তাতে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ১৪৩ বলে ৮০ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়। কনওয়ে ফিরলেও দিনের তৃতীয় সেশনে রস টেলরকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ইয়ং। অ্যান্ডাসনদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেও বিপত্তি ঘটে দিনের একেবারে শেষে এসে।
দিনের শেষ ওভারে ড্যান লরেন্সের একটু বাড়তি লাফানো বলে শর্ট লেগে ধরা পড়েন ইয়ং। তাতে দারুণ এক দিন পার করা ইয়ংকে শেষ পর্যন্ত ২০৪ বলে ৮২ রানে করে হতাশা নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। এদিকে ৯৭ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন টেলর।
এর আগে ৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা লরেন্সও আক্ষেপে পুড়েছেন। সতীর্থরা সঙ্গ দিতে না পারায় ১২৪ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকতে হয়। যা তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। এদিকে প্রথম টেস্টে বিশ্রামে থাকা টেন্ট্র বোল্ট এজবাস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ৩০৩/১০ (ওভার ১০১) (লরেন্স ৮১*, বার্নস ৮১, উড ৪১, সিবলি ৩৫, বোল্ট ৪/৮৫, হেনরি ৩/৭৮)
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ২২৯/৩ (ওভার ৭৬.৩) ( ইয়ং ৮২, কনওয়ে ৮০, টেলর ৪৬*, ব্রড ২/২২)