চার জাতি সিরিজ থেকে আয় হবে ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিলেন রানা
২১ মে ২৫
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে চার জাতি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ইচ্ছা আগেই জানিয়েছিলেন রমিজ রাজা। আইসিসির সভায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রস্তাব উত্থাপন করবেন। জানা গেছে, অংশ নেয়া চার দল ও আইসিসি মিলে চার জাতির এই সিরিজ থেকে প্রতি বছর অন্তত সাড়ে ছয়শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করতে পারবে।
পরের সপ্তাহেই দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির সভা। সেই সভায় চার জাতির এই সিরিজটির রোডম্যাপ বা ফ্লো চার্ট আইসিসিকে দেখাবেন রমিজ। মিডিয়া এবং কমার্সিয়াল রাইটস থেকে প্রাপ্য আনুমানিক লভ্যাংশের পরিমাণটাও উল্লেখ থাকবে তাতে, এমনটা তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
পিসিবির এক কর্মকর্তা ক্রিকইনফোকে বলেছে, 'আইসিসি এবং তার সদস্যরা এখানে দারুণ একটি ইভেন্টের সুযোগ দেখতে পারে। এখানে ঐতিহ্যবাহী লড়াইগুলো দেখার সুযোগ আছে। নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা এখানে আকর্ষিত হবে। এতে ক্রিকেটের উন্নয়ন হবে এবং সদস্যদের লভ্যাংশ বেড়ে যাবে।'

'আইসিসি সুপার সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করে ২০০৫ সালে। তাই এতে তারা আপত্তি করার কথা নয়। বিশ্বজুড়ে অনেক টি-টোয়েন্টি লিগের মাঝে পঞ্জিকায় এই ইভেন্টটিও থাকবে, এক জাতির বিপক্ষে আরেক জাতি খেলবে। দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলো এখনই মান হারাচ্ছে। চার জাতির সিরিজ সেটা পূর্ণ করবে।'
চার জাতির এই সিরিজ আয়োজন করার কথা ওঠে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। তখন এই সিরিজ আয়োজনের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয় ক্রিকেটের তিন মোড়ল ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। যদিও পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা কেউ তোলেনি।
১৯৯২ সালে হিরো কাপের পর (এশিয়া কাপ ছাড়া) চার জাতি টুর্নামেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। যদিও এবার কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা আসবে না বলেই বিশ্বাস পিসিবির সেই কর??তার। জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রথমবারের মতো চার জাতি সিরিজ আয়োজন করার প্রস্তাব আইসিসিকে দেবে পিসিবি।
এই টুর্নামেন্ট প্রতি বছর আয়োজনের প্রস্তাবও আইসিসিকে দেবে পিসিবি। প্রতি বছর সুপার সিরিজে অংশ নেয়া চারটি দল ক্রমান্বয়ে আয়োজন করবে এই টুর্নামেন্টটি।