নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিলেন রানা
২১ মে ২৫
দুর্দান্ত বোলিংয়ে কিউইদের নাগালের মধ্যেই রেখেছিল পাকিস্তান। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবারও সেই ধীর গতির শুরু কাল হয় পাকিস্তানের জন্য। তবে মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ নেওয়াজ আর হায়দার আলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত নেওয়াজের অপরাজিত ৩৮ রানের সুবাদে ৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৫ উইকেটের জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফিও ঘরে তুললো বাবর আজমের দল।
১৬৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ধীর গতির শুরু করেন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাকিস্তান অধিনায়ক ১৪ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙ্গে ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শান মাসুদ। যেখানে দ্রুত রান তোলার প্রয়োজন ছিল, সেখানে তিনিও ধীর গতির ব্যাটিং করে দলের চাপ বাড়িয়েছেন। শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফিরেছেন ২১ বলে ১৯ রান করে। আর রিজওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ৩৪ রান।

১৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৯৭ রান। তখনও জয়ের জন্য ৩৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৭ রান হাতে ছিল ৭ উইকেট। এরপরই নিজদের ব্যাটিংয়ের ধরনে পরিবর্তন আনে পাকিস্তান। ১৫তম ওভারে ইশ সৌধির ওপর চড়াও হন দুই হায়দার আলি এবং মোহাম্মদ নওয়াজ। তার এক ওভারেই তুলেন ২৫ রান। আর তাতে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩০ বলে ৪২ রানে।
এরপর টানা দুই ওভারে হায়দার এবং আসিফ আলি সাজঘরে ফিরলেও তাতে খুব একটা বিপদ হয়নি। ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটা নিরাপদেই পার করেন নেওয়াজ। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভার ৩ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। আর তাতে ৫ উইকেটের জয়ে স্বাগতিকদের হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা ঘরে তুললো পাকিস্তান।
ক্রাইস্টচার্চে এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউজিল্যান্ড। আসরজুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই ওপেনার ফাইনালে এসে ব্যর্থ হয়েছেন। ৬ বলে ১২ রান করা এই তরুণ ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে কিউই শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন নাসিম শাহ।
এদিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েও। উড়ন্ত ফর্মে থাকা এই ওপেনার ১৭ বল খেলে করেছেন ১৪ রান। ফাইনালে তার এমন হতশ্রী ব্যাটিংয়ে শুরুর দিকে ভুগেছে দল। অবশ্য দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ইনিংস মেরামতের কাজটা নিজ হাতেই করেছেন কেন উইলিয়ামসন।
রান খরায় ভুগতে থাকা এই টপ অর্ডার ব্যাটার ফাইনালে এসে জ্বলে উঠেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৫৯ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
শেষ দিকে গ্লেন ফিলিপের ২৯ আর মার্ক চ্যাপম্যানের ২৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হয়ে ২২ রানে ২ উইকেট শিকার করে দিনের সেরা বোলার হারিস রউফ।