'ফাইনালে পাকিস্তানকে সমর্থন দেবে অজিরা'

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘দুবাইয়ের বাইরে খেললেও ভারত চ্যাম্পিয়ন হতো’, একই মত গাভাস্কার-আকরামদের
১২ মার্চ ২৫
১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে যেন একই সুতোয় বেঁধেছে পাকিস্তান। রীতিমতো টাইম মেশিনে চড়ে ৩০ বছর আগে ফিরে গেছেন বাবর আজমরা! সেবারও খুড়িয়ে খুড়িয়ে পথ চলে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরেছিল ইমরান খানের দল। বাবররা সেখান থেকে এক ধাপ দূরে। ফাইনালে ইংলিশদের হারালেই ষোলকলা পূর্ণ। ৯২ ফিরবে ২২ এ, তবে ভিন্ন রূপে! এটা যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
ওয়াসিম আকরামের মতে, শিরোপা পথে হাঁটতে থাকা পাকিস্তানকে ফাইনালে বাড়তি রসদ জোগাবে অজি ক্রিকেট ভক্তরা। কারণ অ্যাশেজের মতো প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ টুর্নামেন্টের কারণেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সমর্থন দেবে অজিরা। তাই মেলবোর্নের ফাইনালে ঘরের মাঠের মতোই ভক্তদের সমর্থন পাবে পাকিস্তান।

ওয়াসিম আকরাম বলেন, 'বিষয়টাকে খুব স্বাভাবিক রাখতে হবে। মাঠে গিয়ে স্রেফ উপভোগ করা। আমি আরেকটি গোপন বিষয় বলতে পারি, গোটা অস্ট্রেলিয়া কিন্তু পাকিস্তান দলকে সমর্থন দেবে। এর কারণ হচ্ছে ইংল্যান্ড। এমনটা ঘটেছিল ’৯২ বিশ্বকাপের ফাইনালেও। যদি ৮৯ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকে, তবে এর মধ্যে ৫০ হাজার অজি ছিল। তারা পরিকল্পনা করে টিকিট আগেই নিয়ে নেয়। আমাদের মতো শেষ মুহূর্তে এসে ওরা টিকিট খোঁজে না।’
পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিলেন রানা
২১ মে ২৫
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। ইমরানের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার। এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ফাইনালে নিজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, তা ভাগাভাগি করেছেন বাবর-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের জন্য।
বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জন্য। ফাইনাল ম্যাচে সবাই কিছুটা বাড়তি চাপ অনুভব করে, তবে যারা এই চাপ সামলে নিজের সেরাটা দিতে পারে তারাই জাত চ্যাম্পিয়ন। চাপ না নিয়ে ফাইনাল ম্যাচটাকে উপভোগ করতে বাবারদের পরামর্শ দিয়েছেন ওয়াসিম আকরাম।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান দারুণ পরিশ্রম করেছে। তাদের উচিত দিনটাকে উপভোগ করা, পরিবেশটাকে উপভোগ করা। নির্ভার থাকতে হবে। যদি আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, ৩০ বছর আগে আমি কেমন বোধ করেছিলাম, আমি অনেকবার সাক্ষাৎকারে বলেছি। সে দিনটাতে আমি বেশ হালকা বোধ করেছিলাম। মাঠে নেমে আমি কোনো চাপ নিইনি। বিশ্বকাপ ফাইনাল ভেবে বাড়তি চাপও রাখিনি। আমি আশা করি, আমাদের খেলোয়াড়েরাও অনুভব করবে যে তারা দারুণ কিছু করতে পারবে।’