উইকেট নিয়ে সাবেকদের সমালোচনার কারণ জানেন না রোহিত
ছবি: সংগৃহীত
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাবরের পছন্দের সেরা একাদশে রোহিত-সূর্যকুমার, নেই কোহলি
১৭ মে ২৫
সবশেষ কবছরে ভারতে টেস্ট হওয়া মানেই যেন উইকেট নিয়ে বিতর্ক। এবারের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও ভিন্নতা মেলেনি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটাররা সরব ভারতের উইকেটের সমালোচনায়। যদিও এসব পাত্তা দেননি রোহিত শর্মা। এমন উইকেটে না খেলা সাবেকদের এক হাত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক।
নাগপুর ও দিল্লি টেস্টের পর ইন্দোরে স্পিন জাল বিছিয়েছিল ভারত। আগের দুই টেস্টে জয় পেলেও এবার নিজেদের ফাঁদে পড়েছেন বিরাট কোহলিরা। প্রথম ইনিংসে ৩৩.২ ওভারের বেশি ব্যাটিং করতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। স্বাগতিকরা অল আউট হয়েছিল মাত্র ১০৯ রানে।
রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও উমেশ যাদবদের দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৭ রানে আটকে দেয় ভারত। ৮৮ রানে পিছিয়ে থাকা রোহিতরা দ্বিতীয় ইনিংসে থামে দেড়শ পেরিয়ে। ১৬৩ রানে অল আউট হলে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৭৬ রান। যেটা সহজেই জিতে নেয় অজিরা।
প্রস্তাব পেলে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হতে রাজি জাদেজা
২৯ মে ২৫
এদিকে প্রথম দিনে ১৪ উইকেট পড়ার পর দ্বিতীয় দিনে দুই দল মিলে উইকেট হারিয়েছে ১৬টি। দুদিনে ৩০ উইকেট পড়া ও ইন্দো??ের উইকেটের টার্ন নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ম্যাথু হেইডেন, মার্ক ওয়াহ এবং মাইকেল ক্লার্ক। ভারতের সাবেক অধিনায়ক দিলীপ ভেংসরকার বলেছিলেন, এমন উইকেট টেস্টের জন্য তামাশার।
সাবেক ক্রিকেটাররা এমন উইকেটে না খেলে, তারা কেন সমালোচনা করছেন সেটা বুঝতে পারছেন না রোহিত। ইন্দোরের উইকেট নিয়ে নিজের পর্যালোচনা জানাতে গিয়ে রোহিত বলেন, ‘সাবেক ক্রিকেটাররা এমন পিচে খেলেননি। তাই আমি জানি না (কেন সমালোচনা হচ্ছে)।’
ইংল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ কবছরে ঘরের মাঠে স্পিনবান্ধব উইকেটে বানিয়েছে ভারত। আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে গতবার ইংলিশদের বিপক্ষেও এমন পন্থা অবলম্বন করেছিল তারা। এবারও একই পথে হেঁটেছে রোহিতরা। ভারতের অধিনায়ক মনে করেন, এটি তাদের শক্তির জায়গা এবং তারা এমন উইকেটে খেলতে চেয়েছেন।’
রোহিত বলেন, ‘আমি যেমন বলেছি, আমরা এমন পিচে খেলতে চেয়েছিলাম এবং এটাই আমাদের শক্তি। আপনি যখন ঘরের মাঠে খেলবেন তখন আপনি নিজের শক্তি অনুযায়ী খেলতে চাইবেন। বাইরের লোকেরা কি বলছে সেটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমরা যদি ফলাফল না পেতাম তাহলে অন্যকিছু ভাবতাম।’
