কথা রাখলেন না লিটনরা

ক্রিকফ্রেঞ্জি
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটের জয়, দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৯ উইকেটে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে চলমান সিরিজে বাংলাদেশ বেশি ভালো পারফরম্যান্স করছে নাকি নেদারল্যান্ডসই বেশি খারাপ করছে। বোলিংয়ে কাজটা করে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানরা। ব্যাটিংয়ে ৪০ বলে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেষের জয় নিশ্চিত করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচসেরা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

promotional_ad

কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পর তানজিদকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন, ‘বাংলাদেশ বেশি ভালো নাকি নেদারল্যান্ডস বেশি খারাপ?’ প্রশ্নটা যে পছন্দ হয়নি বাঁহাতি ব্যাটারের অভিব্যক্তি দেখেই অনুমান করা যাচ্ছিল। তানজিদ পাল্টা প্রশ্ন করতে এক সেকেন্ডও যেন সময় নিলেন না। সেই সাংবাদিকদের কাছে পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার কাছে কী মনে হয়?’ উত্তরটা সাংবাদিকের লাগবেই, সেটা ভেবেই তিনি বললেন, ‘আমার কী মনে হয় সেটা দেখার বিষয় নয়, আপনি মাঠে ছিলেন এজন্য জিজ্ঞেস করেছি।’


আরো পড়ুন

‘দায়িত্বশীল’ লিটনে আনন্দিত সালাহউদ্দিন

৩১ আগস্ট ২৫
মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন

তানজিদও নাছোড়বান্দা হয়ে আবারও পাল্টা প্রশ্ন করে জানতে চাইলেন সেই সাংবাদিকের কাছে কী মনে। যদিও পরোক্ষণে তিনি নিজেই জানালেন, ভালো-খারাপের কিছু নেই, টি-টোয়েন্টিতে ছোট বড় কোনো দল নেই। বাংলাদেশ ভালো নাকি নেদারল্যান্ডস খারাপ সেই প্রশ্নটা আসার কারণটাও স্বাভাবিক। এশিয়া কাপের প্রস্তুতি সারতেই নেদারল্যান্ডসকে ডেকে এনেছে বাংলাদেশ। অথচ নিজেদের প্রস্তুতির চেয়ে সিরিজ জেতার নেশায় বেশি মগ্ন স্বাগতিকরা।


প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতেছিলেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়তে পারে সেই ভাবনা থেকেই বাংলাদেশ অধিনায়কের ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। তাসকিনের ৪ উইকেট, নেদারল্যান্ডস থেমেছে ১৩৬ রানে। জয়টা সহজই হওয়ার কথা ছিল। লিটনের হাফ সেঞ্চুরিতে কাজটা শেষ করেছে ১৩.৩ ওভারে, ৩৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তানজিদ, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান ও লিটন। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই চিত্রনাট্য প্রদর্শন করবে সেটার ইঙ্গিত ছিল মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের কথায়।


promotional_ad

বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচের চাওয়ার পুরোটা জুড়ে ছিল সিরিজ জয়। স্বাভাবিকভাবেই টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে লিটন আবারও ফিল্ডিংই নিয়েছেন। পরের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৯ উইকেটে, ৪১ বল বাকি থাকতে। টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিলেও বাংলাদেশের আদর্শ প্রস্তুতি হচ্ছে কিনা সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। সিরিজ শুরুর আগে লিটন বলেছিলেন, ‘২০০-২৫০ রান করাটা একটা অভ্যাসেরও বিষয়....চেষ্টা করব যে ওইখানে কীভাবে পৌঁছানো যায়।’


আরো পড়ুন

বেঞ্চে প্রতিযোগিতা হলে দলের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা থাকে: বুলবুল

১৮ ঘন্টা আগে
গণমাধ্যমে কথা বলছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, ক্রিকফ্রেঞ্জি

সংবাদ সম্মেলনে এসে চেষ্টার কথা জানালেও মাঠের ক্রিকেটে সেটার প্রতিফলন চোখে পড়েনি। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হওয়ার পরও টস জিতে কেন আগে ফিল্ডিং নেয়া হয়েছে সেই প্রশ্নটাই আসছে ঘুরে ফিরে। তিন সপ্তাহের ক্যাম্পে জাকের আলী, তাওহীদ হৃদয়রা কতটা শিখেছেন সেটা দেখানোর সুযোগই পেলেন না। ব্যাটিংয়ের সুযোগটা হয়েছে কেবল তানজিদ, ইমন ও লিটনের। অর্থাৎ দুই ম্যাচে সব মিলিয়ে ব্যাটিং পেয়েছেন ৪ ব্যাটার, খেলেছেন ২৬.৪ ওভার। মেরেছেন ২০ চার ও ৯ ছক্কা। তবুও প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।


অথচ এশিয়া কাপের ভাবনায় আগে ব্যাটিং করে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারতেন লিটনরা, দিতে পারতেন পরীক্ষাও। শুধু ব্যাটারদের নয় পরীক্ষাটা হতে পারতো বোলারদেরও। গত মে মাসে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবুও সেদিন জিততে পারেননি লিটনরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতেও ১৯৬ রান করে হারতে হয়েছে পরে বোলিং করে। ওই সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক দায়টা চাপিয়ে দিয়েছিলেন শিশিরের উপর। কদিন পর এশিয়া কাপ খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাবে বাংলাদেশ।


৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজেও বড় প্রভাব থাকতে পারে শিশিরের। এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে ওই প্রস্তুতিটা নিতে পারতো বাংলাদেশ। শীতের সময় না হলেও সন্ধ্যার পর স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই শিশির পড়ছে। যার ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করাটা যত সহজ তার কয়েকগুণ কঠিন হয়ে পড়েছে বোলিং করা। শিশিরের চ্যালেঞ্জ উতরে যাওয়ার জন্য আদর্শ প্রস্তুতি হতে পারতো নেদারল্যান্ডস সিরিজ। ঝুঁকি না নিয়ে উল্টো সিরিজ জয়ের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে বাংলাদেশ।


সিরিজ জিতলেও আড়ালেই থেকে গেলেন জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, নুরুল হাসান সোহানরা। যদিও কিছু ইতিবাচক দিকও আছে সিলেটে হওয়া সিরিজে। প্রথম দুই ম্যাচে নাসুম, তাসকিন, তানজিদ, লিটন, সাইফ, মুস্তাফিজের মতো কয়েকজন পারফর্ম দলের ভেতরের প্রতিযোগিতাটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবুও প্রশ্ন থেকেই যেতে পারে কথা দিয়ে কথা না রাখা লিটনরা সত্যিকার্থেই এশিয়া কাপের আদর্শ প্রস্তুতি নিতে পারলেন তো?



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball