ব্রেভিস-লিন্ডেদের কাজ কঠিন করতে চেয়েছিলেন হেনরি

ছবি: ম্যাচ জিতে কিউইদের উল্লাস, ফাইল ফটো

হারারেতে শনিবার ম্যাচের শেষ ওভারে বল হাতে তুলে নেন হেনরি। সাউথ আফ্রিকার ডাগআউটে তখন অনেকটাই প্রস্তুত উদযাপনের জন্য। কিন্তু হেনরি বদলে দেন দৃশ্যপট। ডিওয়াল্ড ব্রেভিস-জর্জ লিন্ডে-কর্বিন বশদের পরিকল্পিত লেংথ ডেলিভারিতে আটকে দেন তিনি। অথচ এর আগের দুই ওভারে ৩০ রান নেন ব্রেভিস-লিন্ডেরা।
সাউথ আফ্রিকার জেতা ম্যাচ কেড়ে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড
২০ ঘন্টা আগে
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হেনরি বলেন, 'ভাবনাটা ছিল ব্যাটারদের কাজ কঠিন করে তোলা নিশ্চিত করা। শুরুতেই ইয়র্কারের চেষ্টা করে যদি দুটো রান হয়ে যেত, তাহলে ছয় বল পার করা কঠিন হতো। আমরা চেষ্টা করেছি ইতিবাচক থাকতে এবং শেষ দিকে একটা পর্যায়ের ঝুঁকি নিতে।'
শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে কোনো রান না দিয়ে ব্রেভিসকে ফেরান হেনরি, মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ব্রেসওয়েল। তৃতীয় বলে প্রোটিয়ারা পায় দুই রান, তবে চতুর্থ বলে লিন্ডে পিছলে পড়ায় কেবল এক রানই নিতে পারল। তাতেই ম্যাচের ভারসাম্য পুরো ঘুরে যায়।

ফিলিপসের চোটে ছুটি কমল ব্রেসওয়েলের
২৫ জুলাই ২৫
পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারি ছয় বা চার যেকোনো কিছুই হতে পারত। কিন্তু ড্যারিল মিচেলের ডান দিকে ছুটে নেওয়া ক্যাচে ফেরেন লিন্ডে। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল চার রান, হেনরি আবারও ইয়র্কার না করে করেন স্লো লেংথ বল। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি সেনুরান মুথুসামি।
'খুব বেশি রান ছিল না আমাদের বাঁচানোর। এতে একটা ব্যাপার ভালো হয়েছে যে, পরিষ্কার হয়ে গেছে ঝুঁকি নিতেই হতো আমাদের। হয় ডট বল অথবা উইকেট, এটা ছাড়া উপায় ছিল না।'
শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট, এর চেয়েও বড় কথা—একটি ইয়র্কার ছাড়াই। ম্যাচসেরা হওয়ার পাশাপাশি সিরিজের ফাইনালে এমন অনন্য বোলিং হয়তো হেনরির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা স্পেল হয়ে থাকবে।