লঙ্কান বোর্ডের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বিসিবি

ছবি: সংগৃহিত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গত জুলাই মাসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফর করার কথা ছিলো বাংলাদেশ দলের। করোনা মহামারির কারনে প্রথম দফা তারিখ পিছিয়ে ২৪ অক্টোবর ১ম টেস্ট দিয়ে সিরিজটি শুরু হবার কথা ছিল। পরে কোয়ারেন্টাইন জটিলতার কারনে অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর।
সেই সফরটি মাঠে ফেরানোর জন্য ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসের দিকে সিরিজটি আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে আকরাম বলেন,'আমরা স্থগিত হওয়া সফর আয়োজনের জন্য এসএলসি এর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ২০২১ আমাদের দুই দেশের জন্যই অনেক ব্যস্ত একটি বছর। কিন্তু ঠাসা সূচির কারনে এপ্রিল ও মে'র মধ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের সিরিজটি খেলতে আমরা উদগ্রীব।'
মূলত এই সফর নিয়ে বিপত্তি বাঁধে শ্রীলঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বেঁধে দেয়া ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ইস্যু নিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ৭ দিন বাংলাদেশে ও বাকি ৭ দিন শ্রীলঙ্কাতে কোয়ারেন্টিন পালনের প্রস্তাব দেয়া হলে সেটি নাকচ করে দেয় লঙ্কা বোর্ড। প্রস্তুতির পর্যাপ্ত অভাব থাকার সম্ভাবনায় পরে এই সিরিজটি খেলতে অস্বীকৃতি জানায় বিসিবি।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সফর করবে ইংল্যান্ড। সেখানে তাঁরা দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে শ্রীলঙ্কা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় তাদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম শিথিল করে। এমনকি ইংল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি সারার সুযোগেও কোন বিধিনিষেধ আরোপ করেনি তাঁরা ।
ইংল্যান্ডকে দেয়া শ্রীলঙ্কান কতৃপক্ষের সুযোগ সুবিধাই বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের সফলতার পালে হাওয়া জুগিয়েছে। এ কারণেই শ্রীলঙ্কা বোর্ডের সাথে দেন দরবার শুরু করেছে বিসিবি। তাঁরা আশা করছে ইংল্যান্ড যে সুবিধা পেয়েছে সেগুলো বাংলাদেশকে দেয়া হলে আগামী বছরের মাঝেই স্থগিত হওয়া সিরিজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া সম্ভব।