ঘন্টায় ১৬৪ কি.মি. গতিতে বল করেছিলেন, দাবি সামির

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিলেন রানা
২১ মে ২৫
একসময় বাইশ গজে গতির ঝড় তুলতেন মোহাম্মদ সামি। পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার ঘন্টায় ১৪০-৪৫ কিলোমিটার গতিতে নিয়মিতই বোলিং করতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪০ এর বেশি গতিতে বোলিং করেন এমন পেসারের সংখ্যা কম নয়। তবে সামির দাবি, সবচেয়ে গতিময় ডেলিভারিটি তিনি করেছিলেন। এমনকি একই ওভারে তিনি ১৬২ ও ১৬৪ কিমি গতিতে দুটি বল করেছিলেন।
ক্লাব ক্রিকেটে থেকে উঠে এসে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সামির। অভিষেকেই দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট সহ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই গড়েন হ্যাটট্রিক।

ক্যারিয়ারর শুরুর দিকের এমন পারফরম্যান্স সবাইকে মুগ্ধ করেছিলে। তাকে ভাবা হতো সময়ের অন্যতম প্রতিভাবান পেসার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ধার হারিয়েছেন তিনি। তার পরও যতদিন সুযোগ পেয়েছেন বল হাতে ঠিকই গতি দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের হাঁটুতে কাপন ধরিয়েছেন।
সামি বলেন, 'একটি ম্যাচে আমি ১৬০ কিলোমিটারের চেয়েও বেশি গতিতে দুটি বল করেছি, একটির গতি ছিল (প্রতি ঘন্টায়) ১৬২ কিমি এবং আরেকটি ছিল ১৬৪ কিমি। এরপর বলা হয়, বোলিং মেশিন (স্পিড গান) কাজ করছে না। সুতরাং, বলগুলি গণনা করা হয়নি। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে যদি দেখেন, ১৬০ এর বেশি গতিতে কেউ একটা বা দুইটার বেশি বল করতে পারে না।'
এদিকে সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডটি সামির স্বদেশী শোয়েব আখতারের দখলে। পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন। তিনি সেই বলটি ঘন্টায় ১৬১.৩ কিমি গতিতে করেছিলেন। যা এখনও পর্যন্ত কেউ ভাঙ্গতে পারেনি।
১৬০ কিমি বা তারও বেশি গতিতে বল করতে পারেছেন আরও তিন জন। এই তালিকায় শোয়েবের পরই আছেন শন টেইট। এর পর যথাক্রমে আছেন, ব্রেট লি এবং জেফ থমাস।