‘ভারতের কাছে আইসিসিও অসহায়’

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাম সরিয়ে নিলেন রানা
২১ মে ২৫
প্রায়শই খবরের শিরোনামে দেখা যায় ভারতের কাছে অসহায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টান্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। মূলত পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের দাবির প্রেক্ষিতেই এমন খবরের শিরোনাম দেখা যায়। যদিও তা সবসময়ই নাখোচ করে দিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কর্তারা। যদিও শহিদ আফ্রিদি মনে করেন, ভারতের কাছে আইসিসি অসহায়।
বিশ্ব ক্রিকেটে বড় বাজার তৈরি করেছে ভারত। বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা থাকলে সেখানে স্পন্সর কিংবা কাড়াকাড়ি টাকা ঢালতে দ্বিধাবোধ করে দেশটির বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠানগুলো। আইসিসির বেশিরভাগ টুর্নামেন্টের সম্প্রচার সত্ব ভারতের কোম্পানির হাতে। আইসিসির আয়ের বেশিরভাগ টাকাই আসে ভারত থেকে।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং ভারতকে বলা হয়ে থাকে ক্রিকেটের তিন মোড়ল। এই তিনদেশের মাঝে আইসিসির সবচেয়ে বেশি আয় আসে ভারত থেকে। যার ফলে সবাই মনে করেন, আইসিসি ভারতকে সুবিধা দিয়ে থাকে। যদিও বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে সেটা বরাবরই চাওর হয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে আইসিসির নিরপেক্ষতায় পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা প্রায়শই প্রশ্ন তোলেন সংস্থাটিকে নিয়ে। এবারের এশিয়া হওয়ার কথা রয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে। তবে ভারত যেতে অপারগতা জানানোয় এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের কথা চলছে।
যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চাওয়া তাদের দেশেই এশিয়া কাপ আয়োজন করা। তবে সেই সিদ্ধান্তের জন্য দেশটির সরকারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পিসিবি। এদিকে ভারত পাকিস্তানে খেলতে না এলে তারা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ বয়কটও করতে পারে। এমন গুঞ্জনও চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। এসব আলোচনার মাঝে এগিয়ে না আসায় আইসিসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন আফ্রিদি।
সামা টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘আমি জানি না আসলে কি হবে। ভারত পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যাবে নাকি আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপ বয়কট করবো। কিন্তু আমাদের একটা দিকে অবস্থান নিতে হবে। এমন অবস্থায় আইসিসির ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের এগিয়ে আসা উচিত। কিন্তু আমাকে এটা বলতে দিন যে বিসিসিআইয়ের সামনে ভারতও কিছু করতে পারবে না।’
আফ্রিদি অবশ্য এটা মানেন যে ভারতের মতো চাইলেই পাকিস্তান কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কারণ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য পায়ের তলার মাটি শক্ত হতে হয় কিংবা ক্ষমতা অর্জন করতে হয়। ভারতের সেই সক্ষমতা আছে বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার।
আফ্রিদি বলেন, ‘কেউ যদি নিজের পায়ে না দাঁড়াতে পারে তাহলে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ নয়। তাদের অনেক কিছু দেখতে হবে। ভারত যদি এমন শক্ত অবস্থান নেয় তাহলে বুঝতে হবে তারা তাদের শক্তিশালী করেছে। সুতরাং তারা এভাবে কথা বলতে সক্ষম। অন্যথায় তাদের সাহস হবে না। শেষ পর্যন্ত নিজেকে শক্তিশালী করতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’